মেঘ ছুঁতে চাইলে
‘
রাঙা মেঘ সাঁতরায়ে অন্ধকারে আসিতেছে নীড়ে/দেখিবে ধবল বক; আমারেই পাবে তুমি ইহাদের ভিড়ে’-জীবনানন্দের মতো ধবল বকের দেখা পান বা না পান, সাদা মেঘের সাঁতারে দুচোখ জুড়াতে চাইলে যেতে পারেন সাজেক ভ্যালি। তুলার মতো মেঘ ছুঁয়ে ভেসে যেতে পারেন স্বপ্নে দেখা স্বর্গের ভেলায়। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফুট উঁচু কংলাক পাড়ার পাথরচূড়ায় যখন আপনি বিজয়ীর বেশে দাঁড়িয়ে, নির্ঘাত ভুলে যাবেন ফেলে আসা জীবনের সব গ্লানি আর ব্যর্থতার কথা।
সবুজ পাহাড়ের বুক চিরে যখন আঁকাবাঁকা-উঁচুনিচু পথে আপনার জিপ অথবা চাঁদের গাড়ি ছুটে যাবে সাজেকের পথে, কোনো আদিবাসী শিশুর দেখা পেলে তাদের দিতে পারেন চকলেট। যে আনন্দ সেই পাহাড়ি শিশুর হৃদয়কে ছুঁয়ে যাবে, যে হাসিটা সে আপনাকে উপহার দিবে তা লক্ষ টাকা দিয়েও কিনতে পারবেন না।
রুইলুই পাড়ায় সেনাবাহিনী পরিচালিত অথবা বেসরকারি রিসোর্টে থাকতে হবে আপনাকে। থাকতে পারেন ক্লাবহাউজেও। কাচালং আর মাচালং নদী, উড়োবাজার, গঙ্গারামমুথ, নন্দরাম- এসব পাহাড়ি গ্রাম পেরিয়ে যত এগিয়ে যাবেন, ততই মুগ্ধ হতে থাকবেন। কংলক আর রুইলুই পাড়ায় মূলত লুসাই আদিবাসীদের বসবাস। এছাড়াও কিছুসংখ্যক পাংখুয়া ও ত্রিপুরাও বাস করে এখানে।
কমলা চাষের জন্য বিখ্যাত আয়তনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন সাজেক। রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় এর অবস্থান। যাতায়াতের সুবিধা খাগড়াছড়ির বাঘাইঘাট আর্মি ক্যাম্প হয়ে। সকাল দশটা অথবা বিকাল তিনটায় এখানে রিপোর্ট করার পর সাজেক অভিমুখে একসাথে ছাড়বে সব গাড়ি। আর আপনি ক্রমাগত এগুতে থাকবেন মেঘ ছোঁয়ার এক অনবদ্য অনুভূতি লাভের পথে।
প্রতিক্ষণ/এডি/নাজমুল